খুঁজুন
রবিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৫, ৭ বৈশাখ, ১৪৩২

ইসরায়েল কীভাবে এত শক্তিশালী রাষ্ট্রে পরিণত হলো?

অনলাইন ডেস্ক আব্দুল্লাহ আল মামুন
প্রকাশিত: বুধবার, ৯ এপ্রিল, ২০২৫, ১০:২৩ এএম
ইসরায়েল কীভাবে এত শক্তিশালী রাষ্ট্রে পরিণত হলো?

 

বেন গুরিয়ন ১৯৪৯ সালে হোয়াইট হাউজে তোলা ছবি
আর ১৯৪৮ সালে ইসরায়েল রাষ্ট্র ঘোষণা হলেও, এ অঞ্চলে ব্রিটেন ও ফ্রান্সের প্রভাবটাই বেশি ছিল। কিন্তু আমেরিকার সাথে সম্পর্ক আরো দৃঢ় হয় ১৯৫৬ সালে দ্বিতীয় আরব-ইসরায়েলি যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে। ইসরায়েল পশ্চিমাদের মদদে যখন মিশরে হামলা চালায়, তখন মিশরের পক্ষে থাকা দেশগুলোকে সহায়তা করতে আগ্রহ দেখায় সোভিয়েত ইউনিয়ন আর মধ্যপ্রাচ্যে সোভিয়েত ইউনিয়নকে ঠেকাতে ব্রিটিশ সেনাদের হটিয়ে অবস্থান নেয় আমেরিকা।

“ইসরায়েলের জন্মই হয়েছে মূলত পরাশক্তিদের বিশাল সমর্থনে যেটা ইসরায়েলের ক্ষমতায়নে একটা বড় ভূমিকা রেখেছে,
এছাড়া এটাও মনে করা হয় যে ইহুদিদের সাথে শিক্ষাগত, সাংস্কৃতিক, বৈজ্ঞানিক এমন নানা দিক পশ্চিমা চিন্তাধারার সাথে মিলে যেটা আরবদের থেকে ভিন্ন, এজন্য ইসরায়েলকে মধ্যপ্রাচ্যে একটুকরো পশ্চিমা দেশ হিসেবে গণ্য করা হয়। আর সত্তরের দশক থেকে আমেরিকার উদ্যোগে আরব রাষ্ট্রগুলোর সাথে ইসরায়েলের একরকম সমঝোতার পথও তৈরি হতে থাকে।

২০১৭ সালের ডিসেম্বরে ইসরায়েলের দখলকৃত বিতর্কিত অঞ্চল জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ওল্ড সিটির দেয়ালে এমন পতাকার ছবি তুলে ধরা হয়।

শুধু সামরিক দিক থেকে নয়, অন্যান্য ক্ষেত্রেও সমানভাবে দক্ষতার দিকে এগিয়েছে। ইসরায়েলের চমক জাগানো সাফল্যগুলোর মধ্য অন্যতম হচ্ছে তাদের কৃষি খাত।

ফিলিস্তিনিদের বিতাড়িত করার মাধ্যমে ইসরায়েল রাষ্ট্রের যখন প্রতিষ্ঠা হয়, তখন সেখানে পানি এবং উর্বর ভূমির সংকট ছিল।

কৃষি-ভিত্তিক রাষ্ট্র পরিচালনা থেকে একটি হাই-টেক অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় রূপান্তরিত হয়েছে ইসরায়েল। অত্যাধুনিক সেচ ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে মরুভূমিতে নানা ধরণের শস্য ফলানোর সাফল্য দেখিয়েছে দেশটি।

মরুভূমির ধারে একটি আঙুর বাগান, যা থেকে তৈরি করা হয় ওয়াইনছবির উৎস,Getty Images
ছবির ক্যাপশান,নেগেভ মরুভূমির একটি আঙুর বাগান, যা থেকে তৈরি করা হয় ওয়াইন
আমেরিকার ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড অ্যাডমিনিস্ট্রেশন-এর মতে ইসরায়েলের ফুড প্রসেসিং শিল্প ক্রমাগত নতুন নতুন জিনিস উদ্ভাবন করছে।

ইসরায়েলের ফুড প্রসেসিং শিল্প ২০২০ সালে ১৯ বিলিয়ন ডলার আয় করেছে এবং এই আয় ক্রমাগত বাড়ছে।

অত্যাধুনিক প্রযুক্তির দিক থেকে ইসরায়েলের প্রভাব রয়েছে। দেশটিতে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করে এমন স্টার্ট আপের সংখ্যা লাখের উপরে।

নেতৃত্ব
নেতৃত্বের দিক দিয়ে শুরু থেকেই বিচক্ষণতা দেখিয়েছে ইসরায়েল, যেটা তাদের এগিয়ে নিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে।

দেশটির নেতৃত্ব সামরিক, কৃষি, শিক্ষা, উদ্ভাবন এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে দীর্ঘমেয়াদী চিন্তা করেছে।

মিস্ আকতেলের মতে তাদের নেতৃত্বের স্টাইল এবং নীতি নির্ধারণ একটু ভিন্ন ধরণের।

“তারা সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে দীর্ঘমেয়াদী লক্ষ্য এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্ককে অগ্রাধিকার দেয়” বলেন মিজ আকতেল।

ইসরায়েলের ইহুদিরা মূলত এ অঞ্চলে এসেছিল বাইরের ভূখণ্ড, বিশেষত ইউরোপ থেকে।

ড. মাহমুদ আলীর মতে অষ্টাদশ থেকে উনবিংশ শতাব্দীতে ইউরোপে জ্ঞানের যে ব্যাপক বিকাশ ঘটে সেটার অংশ ছিল ইহুদি জ্ঞানী বা পান্ডিত্য সম্পন্ন ব্যক্তিবর্গ যারা অতি জ্ঞানী, আধুনিক, শিক্ষিত একটি জাতিগোষ্ঠী হিসেবে ইসরায়েল প্রতিষ্ঠা করেন।

“তারা ৩০ ও ৪০ এর দশকে ইসরায়েল অঞ্চলে এসেছিলেন এবং তাদের সহযোগিতায় ইসরায়েল উচ্চ শিক্ষিত একটি বৈজ্ঞানিক রাষ্ট্রে পরিণত হয়। মধ্যপ্রাচ্যে যেখানে দারিদ্র্য, বৈষম্য ও শিক্ষার অভাব ছিল সেখানে ইসরায়েল একটি ভিন্ন সমাজ এবং রাষ্ট্রব্যবস্থায় উপনীত হয়,” বলেন ড. আলী।

তবে যতই আধুনিক বা শক্তিধর হোক না কেন, মিজ আকতেলের মতে এর পেছনে তাদের আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন, ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের দখল এবং মানুষের উপর সহিংসতার বিষয়টি উপেক্ষা করা যায় না।

সালথায় এক যুবকের লাশ উদ্ধার

সালথা উপজেলা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: রবিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৫, ১২:২৪ এএম
সালথায় এক যুবকের লাশ উদ্ধার

দৈনিক জীবনের দর্পণ

ফরিদপুরের সালথায় রবিউল ইসলাম (৩০) নামে এক যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ শনিবার (১৯ এপ্রিল) বিকালে উপজেলার যদুনন্দী ইউনিয়নের যদুনন্দী গ্রামের খালপাড় এলাকা থেকে পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে।

 

নিহত রবিউল ইসলাম ফরিদপুর সদর উপজেলার কানাইপুর ইউনিয়নের রায়কাইল গ্রামের হানিফ ব্যাপারীর ছেলে।

 

জানা যায়,কৃষি কাজের জন্য বোয়ালমারী উপজেলার বাবু বাজার এলাকায় কামলা দিতে যান রবিউল। গত মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) কৃষি কাজ শেষে গায়রস্তের একটি গাছের ওঠে ডাল কাটার জন্য। এসময় বিদ্যুৎ এর তারের সাথে স্পৃষ্টে গুরুত্বর আহত হয়।আহত অবস্থায় প্রথমে বোয়ালমারী হাসপাতাল নেওয়া হয়। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

গতকাল শুক্রবার হাসপাতাল থেকে মায়ের বাড়ি যদুনন্দীতে চলে আসে রবিউল। ওইদিন রাতেই তিনি মারা যান। খবর পেয়ে পুলিশ আজ শনিবার দুপুরে যদুনন্দী থেকে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।

 

সালথা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ আতাউর রহমান বলেন, বিদ্যুত স্পুষ্টে আহত যুবকের মৃত্যুর খবর পেয়ে যদুনন্দী গ্রাম তার লাশ উদ্ধার করা হয়। ময়তদন্তের জন্য ফরিদপুর মর্গে পাঠাদৈনিক জীবনের দর্পণ নো হবে।

গৃহকর্মী ও যৌনকর্মীদের ‘শ্রমিক’ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার সুপারিশ

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৫, ১২:০৫ এএম
গৃহকর্মী ও যৌনকর্মীদের ‘শ্রমিক’ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার সুপারিশ

প্রধান উপদেষ্টার কাছে প্রতিবেদন জমা দেন নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশনের সদস্যর

 

১৫টি মূল বিষয়সহ ৪৩৩টি সুপারিশ করেছে নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশন। শনিবার (১৯ এপ্রিল) বিকালে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে এই প্রতিবেদন হস্তান্তর করে কমিশন। এসময় কমিশনের সদস্যরা প্রতিবেদনের সারসংক্ষেপ প্রধান উপদেষ্টার সামনে তুলে ধরেন। সুপারিশগুলোর মধ্যে আছে– শ্রম আইনে গৃহকর্মী ও যৌনকর্মীদের শ্রমিক হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান। এটি অন্তর্বর্তী সরকারের সময়ে বাস্তবায়ন করা সম্ভব বলে মনে করে নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশন।

 

প্রতিবেদনে একই সময়ে বাস্তবায়ন করার মতো শ্রম খাতে অন্যান্য সুপারিশের মধ্যে আছে— সব খাতে ৬ মাস বা ২৪ সপ্তাহ পূর্ণ বেতনে প্রসূতি, প্রসব ও দত্তকজনিত ছুটি নিশ্চিত করা। শ্রম আইনে “প্রসূতি কল্যাণ” পরিবর্তন করে “প্রসূতি অধিকার” লেখা এবং গর্ভধারণ থেকে প্রসবোত্তর ছুটিতে থাকাকালীন সময়ে চাকরিচ্যুতি নিষিদ্ধ করাসহ প্রয়োজনীয় অন্যান্য সুযোগ সুবিধা অন্তর্ভুক্ত করা। পাশাপাশি সব খাতে দুই সপ্তাহ পূর্ণ বেতনে পিতৃত্বজনিত ছুটি নিশ্চিত করা।

এছাড়া অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে বাস্তবায়ন করার মতো আরও দুটি শ্রম ও কর্মসংস্থান বিষয়ক সুপারিশ হচ্ছে— অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতে নারীর কাজের স্বীকৃতি দেওয়া, গণপরিবহন আইনে সহিংসতা ও যৌন হেনস্তা নিরসনে সুনির্দিষ্ট ধারা অন্তর্ভুক্ত করা ও তার প্রয়োগ।

 

এছাড়া পরবর্তী সরকারের মেয়াদে বাস্তবায়নযোগ্য শ্রম ও কর্মসংস্থান বিষয়ক সুপারিশের মধ্যে আছে— সব খাতে নারী ও পুরুষ শ্রমিকদের জন্য ন্যূনতম মজুরি নির্ধারণ করা, যাতে মজুরি বৈষম্য নিরসন হয়। ন্যূনতম মজুরি বৈশ্বিক মানদণ্ডের সঙ্গে মিল রেখে প্রতি বছর পুনর্মূল্যায়ন করা এবং বাঁচার মতো মজুরির জন্য নীতি প্রণয়ন করা।

 

নারী শ্রমিকদের নিরাপদ অভিবাসনের জন্য বেশ কিছু সুপারিশ করা হয়েছে প্রতিবেদনে। এর মধ্যে অন্তর্বর্তী সরকারের সময়ে বাস্তবায়ন করার মতো সুপারিশগুলো হচ্ছে—অভিবাসী নারী শ্রমিক ও প্রত্যাগত নারী শ্রমিকদের জন্য বিদ্যমান অভিবাসন আইন, বিধি ও নীতিতে প্রয়োজনীয় সংশোধন করা—যাতে তাদের সর্বোচ্চ সুরক্ষা, সম্মান ও কল্যাণ নিশ্চিত হয়। অভিবাসী নারী শ্রমিকদের জন্য নিরাপত্তা ও সহায়তা নিশ্চিত করতে বিভিন্ন দেশের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক ও দ্বিপাক্ষিক চুক্তি সম্পাদন ও বাস্তবায়ন নিশ্চিত করা, যাতে পরিবীক্ষণ ব্যবস্থা জোরদার এবং ত্রৈমাসিক ও বার্ষিক প্রতিবেদন নিশ্চিত হয়।

 

এছাড়া আছে প্রত্যাগত নারী অভিবাসী শ্রমিকদের পুনঃএকত্রীকরণ ও কর্মসংস্থান সহজ করতে খসড়া পুনঃএকত্রীকরণ নীতি অনুমোদন ও বাস্তবায়ন করার সুপারিশ।

 

নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনে আকাঙ্ক্ষা হিসেবে বলা হয়েছে—সব খাতে শোভনকাজ ও বাঁচার মতো মজুরিসহ অধিক সংখ্যক নারী অভিবাসনের ব্যবস্থা নেওয়া, যেখানে তারা আন্তর্জাতিক শ্রম ও অভিবাসন আইনের সব সুযোগ-সুবিধা পাবেন এবং তাদের কর্মপরিবেশ ও মর্যাদা বর্তমানের চেয়ে উন্নত হবে।

 

প্রতিবেদনে সংবিধান আইন ও নারীর অধিকার: সমতা ও সুরক্ষার ভিত্তি, নারীর অগ্রগতির জন্য প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থা ও জাতীয় সংস্থাসমূহ, নারীর স্বার্থ ও অধিকার প্রতিষ্ঠায় বিকেন্দ্রীকরণ ও স্থানীয় পর্যায়ের উন্নয়ন, নারী ও মেয়ে শিশুর জন্য সহিংসতামুক্ত সমাজ, জনপরিসরে নারীর ভূমিকা: জাতীয় ও স্থানীয় পর্যায়ে, জনপ্রশাসনে নারীর অংশগ্রহণ, নারীর অগ্রগতির জন্য শিক্ষা, প্রযুক্তি ও দক্ষতা বৃদ্ধি, সব বয়সী নারীর জন্য সুস্বাস্থ্য, অর্থনীতিতে অংশগ্রহণ ও সম্পদের অধিকার, শ্রম ও কর্মসংস্থান, নারী শ্রমিকের নিরাপদ অভিবাসন, দারিদ্র্য কমাতে টেকসই সামাজিক সুরক্ষা, গণমাধ্যমে নারীর অংশগ্রহণ, চিত্রায়ণ ও প্রকাশ, ক্রীড়া ও সংস্কৃতিতে নারীর অন্তর্ভুক্তি ও বিকাশ এবং দুর্যোগ ও জলবায়ু পরিবর্তনে নারী বিষয়ে সুপারিশ করা হয়েছে।

 

প্রতিবেদন বিষয়ে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রধান শিরীন পারভিন হক বলেন, আমরা প্রতিবেদনে সব মিলিয়ে ৪৩৩টি সুপারিশ দিয়েছি। আমরা মনে করি, ৪৩৩টির মধ্যে যদি ২০০টিও বাস্তবায়ন হয়, তাহলেও আমরা অনেকটা এগিয়ে যাবো। আমাদের সুপারিশগুলো ৩টি ভাগে করেছি। আমরা মনে করি, এই অন্তর্বর্তী সরকারের সময় করা সম্ভব, দ্বিতীয়ত আমরা মনে করছি, এরপরে যে সরকার আসবে, যেই মেয়াদেই হোক না কেন, সেই সময়ের মধ্যে কী করা যায়– সেটাকে আমরা আলাদা ভাগ করেছি। আরেকটি ভাগ হচ্ছে, নারী আন্দোলনের যে চিরন্তন আকাঙ্ক্ষা ‘স্বাধীনতা’ এবং সেই স্বাধীনতা পেতে হলে, নারীর যদি সত্যিকারের মুক্তি পেতে হয়, তাহলে আমরা কী করতে চাই, আমাদের আকাঙ্ক্ষা কী, স্বপ্ন কী– সেগুলো তুলে ধরেছি। আমরা জানি অনেক কিছু নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হবে, আমরা সেই বিতর্ককে স্বাগত জানাই। কারণ আমরা মনে করি, এখন ২০২৫ সাল, হাইটাইম—এগুলো নিয়ে জনপরিসরে আলোচনা হোক, বিতর্ক হোক, জানাজানি হোক, মানুষ জানুক নারী কী চায়, নারীর

স্বপ্নটা কী।

 

ভারত থেকে জেল খেটে ফিরলেন ৭ বাংলাদেশি

অনলাইন ডেস্ক দৈনিক জীবনের দর্পণ
প্রকাশিত: শনিবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৫, ১১:৫৭ পিএম
ভারত থেকে জেল খেটে ফিরলেন ৭ বাংলাদেশি

ভারতে তিন-ছয় বছর জেল খেটে বিশেষ ট্রাভেল পারমিটের মাধ্যমে বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে দেশে ফিরলেন সাত বাংলাদেশি নারী-পুরুষ।

শনিবার (১৯ এপ্রিল) সন্ধ্যায় ভারতের পেট্রাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশ বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছে তাদের হস্তান্তর করে। ইমিগ্রেশনের আনুষ্ঠানিকতা শেষে তাদের বেনাপোল পোর্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

 

বেনা পোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইব্রাহিম আহমেদ বলেন, ‘ভালো কাজ করার আশায় তারা দালালদের মাধ্যমে অবৈধপথে পাসপোর্ট-ভিসা ছাড়া ভারতে যান। এরপর ভারতের কলকাতা শহরে বিভিন্ন বাসা-বাড়িতে কাজ করার সময় সে দেশের পুলিশের হাতে আটক হন এবং আদালত তাদের তিন-ছয় বছরের সাজা দেয়। সাজা শেষে একটি এনজিও সংস্থার মাধ্যমে আজ সন্ধ্যায় তারা দেশে ফেরেন।’

ফেরত আসারা হলেন- লিলি বেগম (৩১), মণিকা আক্তার (২১), কাজল গাজী (২৭), আম্বিয়া বিবি (৩২),ইসলাম সর্দার (৫৭), আকলিমা খাতুন (২২) ও সাবিনা বিবি (২৫)। এরা ঢাকা, সাতক্ষীরা, খুলনা, যশোর ও বগুড়া এলাকার বাসিন্দা।