
সেলিব্রেটি ক্রিকেট লিগের নামে এ কেমন অশ্লীলতা?
বাইশ গজের এই মাঠে যেন ব্যাটবলের চেয়ে শরীর দেখাতে ব্যস্ত সেলিব্রেটিরাl
অনুশীলন কিংবা খেলার মূল পর্ব, সেলিব্রেটিরা ফ্রেম বন্দী হয়েছেন নানা অশ্লীল রূপে।
আর সেই ছবি মুহূর্তে হচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল।
আমাদের বাজে বাজে অ্যাঙ্গেলে ভিডিও করে রাখে, সেটা তো আমরা কিছু করতে পারব না ভাইয়া।
এর মধ্যে হলো এক দুঃসংবাদ।
সেলিব্রেটি ক্রিকেট লিগে অশ্লীলতা ছড়ানোর অভিযোগে নয় জনকে পাঠানো হয়েছে লিগ্যাল নোটিশ।
এ তালিকার প্রথমেই উঠে এসেছে ডিরেক্টর প্রবীর রায় চৌধুরীর নাম।
এছাড়াও আরো রয়েছেন নির্মাতা গিয়াসউদ্দিন সেলিম, তানিম রহমান অংশু, অভিনেত্রী মারিয়া মিম, সিনথিয়া ইয়াসমিন, কেয়া পায়েল, মারুফা আক্তার ঝামান, মডেল শাম্মি ইসলাম নীলা ও আলিশার নামও
।
লিগ্যাল নোটিসে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মোহাম্মদ জাকির হোসেন বলেন
সব বয়সী মানুষ যে খেলা দেখে সেই খেলায় এমন অশ্লীলতা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।
এই সেলিব্রিটি ক্রিকেট লীগ ২০২৫ নামে যে অশ্লীলতা ছড়িয়ে পড়ছে সেই ক্ষেত্রে কিন্তু আমরা পারিবারিকভাবে ক্রিকেটটা দেখতে পারছি না। এবং কি ক্রিকেটের কিন্তু মান ইজ্জতও নষ্ট হচ্ছে। কারণ এই ক্রিকেটের নামে একটা মেয়ে আছে এখানে,
আপনারা সবাই জানেন মারিয়া মিম উনি এক্সাক্টলি ক্রিকেট খেলতে গিয়ে একটা অশ্লীল ড্রেস পরে উনি নিজেকে শো আপ করছে এবং উনি বলছে যদি ফিগারই যদি না দেখাইতে পারি তাহলে কেন খেলতে আসলাম। তারমানে তাদের কিন্তু খেলাটা মূল উদ্দেশ্য না। তাদের মূল উদ্দেশ্য হলো যে তাদের ফিগার দেখানো এবং কি বিভিন্ন খারাপ যে নোংরামি ছড়ানো সেটা। কিন্তু আমরা চাই বাংলাদেশে যেন ক্রিকেটের নামে কোন ধরনের অশ্লীলতা না ছড়ায় এবং এই ক্রিকেটের নামে যেন কেউ কাউকে ক্রিকেটকে কলঙ্কিত না করে।
সবাইকে লিগেল নোটিশ পাঠিয়েছি, আগামী ১৫ দিনের ভিতরে কেন ক্রিকেটের নামে অশ্লীলতা ছড়িয়ে দিয়েছে সেজন্য ১৫ দিনের ভিতরে যেন আমাদেরকে এই জবাব প্রদান করে। আনলেস আমরা ১৫ দিনের পরেই কিন্তু তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রদান করব।
শুধু অশ্লীলতা নয়। সেলিব্রিটি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে নানা ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে সাংবাদিকদেরও।
আর এইজন্য আয়োজকদের বেখেয়ালীপনা আর উদাসীনতাকে দায়ী করেছেন গণমাধ্যম কর্মীরা।