খুঁজুন
রবিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৫, ৭ বৈশাখ, ১৪৩২

গির্জা পোড়ানো নাশকতায় পাকিস্তানে ১৪৬ গ্রেপ্তার

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ১৮ আগস্ট, ২০২৩, ৭:২৬ পিএম
গির্জা পোড়ানো নাশকতায় পাকিস্তানে ১৪৬ গ্রেপ্তার
পাকিস্তানের সবচেয়ে জনবহুল প্রদেশে পাঞ্জাবের জারানওয়ালা শহরে ৫টি চার্চ ও সেসব চার্চের নিকটবর্তী কয়েক ডজন বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। ঘটনায় সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে ইতোমধ্যে ১৪৬ জনকে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে।

পাঞ্জাব প্রাদেশিক পুলিশের মহাপরিদর্শক ওসমান আনোয়ার কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরাকে এসব তথ্য নিশ্চিত করে বলেছেন, ‘অপরাধী ও ইন্ধনদাতাদের ধরতে আমাদের অভিযান শুরু হয়েছে। এই ঘটনায় সংশ্লিষ্ট সবাইকে আমরা আইনের আওতায় আনার জোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।’

পাঞ্জাব প্রাদেশিক সরকারের তথ্যমন্ত্রী আমির মির বৃহস্পতিবার এক টুইটবার্তায় জানান, সহিংসতার ওই ঘটনার পর ইসা নগরির বাসিন্দাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কয়েক ওই এলাকায় কয়েক হাজার পুলিশ ও আধাসামরিক বাহিনীর সদস্যকে মোতায়েন করা হয়েছে।

জারানওয়ালায় হামলার শিকার একটি চার্চের কাছেই বসবাস করতেন খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী ফারুক মাসিহ; তার পেশা ট্রাকে রং করা। ইসা নগরির অন্য অনেকের মতো মাসিহর বাড়িও পুড়িয়ে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা।

৪৭ বছর বয়সী মাসিহ আলজাজিরাকে বলেন, ‘তারা আমার পুরো বাড়ি সম্পূর্ন জ্বালিয়ে দিয়েছে। কিছুই আর অবশিষ্ট নেই। এমনকি বসার মতো একটি চেয়ারও নেই। সব ছাই হয়ে গেছে।’

সালথায় এক যুবকের লাশ উদ্ধার

সালথা উপজেলা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: রবিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৫, ১২:২৪ এএম
সালথায় এক যুবকের লাশ উদ্ধার

দৈনিক জীবনের দর্পণ

ফরিদপুরের সালথায় রবিউল ইসলাম (৩০) নামে এক যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ শনিবার (১৯ এপ্রিল) বিকালে উপজেলার যদুনন্দী ইউনিয়নের যদুনন্দী গ্রামের খালপাড় এলাকা থেকে পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে।

 

নিহত রবিউল ইসলাম ফরিদপুর সদর উপজেলার কানাইপুর ইউনিয়নের রায়কাইল গ্রামের হানিফ ব্যাপারীর ছেলে।

 

জানা যায়,কৃষি কাজের জন্য বোয়ালমারী উপজেলার বাবু বাজার এলাকায় কামলা দিতে যান রবিউল। গত মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) কৃষি কাজ শেষে গায়রস্তের একটি গাছের ওঠে ডাল কাটার জন্য। এসময় বিদ্যুৎ এর তারের সাথে স্পৃষ্টে গুরুত্বর আহত হয়।আহত অবস্থায় প্রথমে বোয়ালমারী হাসপাতাল নেওয়া হয়। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

গতকাল শুক্রবার হাসপাতাল থেকে মায়ের বাড়ি যদুনন্দীতে চলে আসে রবিউল। ওইদিন রাতেই তিনি মারা যান। খবর পেয়ে পুলিশ আজ শনিবার দুপুরে যদুনন্দী থেকে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।

 

সালথা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ আতাউর রহমান বলেন, বিদ্যুত স্পুষ্টে আহত যুবকের মৃত্যুর খবর পেয়ে যদুনন্দী গ্রাম তার লাশ উদ্ধার করা হয়। ময়তদন্তের জন্য ফরিদপুর মর্গে পাঠাদৈনিক জীবনের দর্পণ নো হবে।

গৃহকর্মী ও যৌনকর্মীদের ‘শ্রমিক’ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার সুপারিশ

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৫, ১২:০৫ এএম
গৃহকর্মী ও যৌনকর্মীদের ‘শ্রমিক’ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার সুপারিশ

প্রধান উপদেষ্টার কাছে প্রতিবেদন জমা দেন নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশনের সদস্যর

 

১৫টি মূল বিষয়সহ ৪৩৩টি সুপারিশ করেছে নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশন। শনিবার (১৯ এপ্রিল) বিকালে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে এই প্রতিবেদন হস্তান্তর করে কমিশন। এসময় কমিশনের সদস্যরা প্রতিবেদনের সারসংক্ষেপ প্রধান উপদেষ্টার সামনে তুলে ধরেন। সুপারিশগুলোর মধ্যে আছে– শ্রম আইনে গৃহকর্মী ও যৌনকর্মীদের শ্রমিক হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান। এটি অন্তর্বর্তী সরকারের সময়ে বাস্তবায়ন করা সম্ভব বলে মনে করে নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশন।

 

প্রতিবেদনে একই সময়ে বাস্তবায়ন করার মতো শ্রম খাতে অন্যান্য সুপারিশের মধ্যে আছে— সব খাতে ৬ মাস বা ২৪ সপ্তাহ পূর্ণ বেতনে প্রসূতি, প্রসব ও দত্তকজনিত ছুটি নিশ্চিত করা। শ্রম আইনে “প্রসূতি কল্যাণ” পরিবর্তন করে “প্রসূতি অধিকার” লেখা এবং গর্ভধারণ থেকে প্রসবোত্তর ছুটিতে থাকাকালীন সময়ে চাকরিচ্যুতি নিষিদ্ধ করাসহ প্রয়োজনীয় অন্যান্য সুযোগ সুবিধা অন্তর্ভুক্ত করা। পাশাপাশি সব খাতে দুই সপ্তাহ পূর্ণ বেতনে পিতৃত্বজনিত ছুটি নিশ্চিত করা।

এছাড়া অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে বাস্তবায়ন করার মতো আরও দুটি শ্রম ও কর্মসংস্থান বিষয়ক সুপারিশ হচ্ছে— অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতে নারীর কাজের স্বীকৃতি দেওয়া, গণপরিবহন আইনে সহিংসতা ও যৌন হেনস্তা নিরসনে সুনির্দিষ্ট ধারা অন্তর্ভুক্ত করা ও তার প্রয়োগ।

 

এছাড়া পরবর্তী সরকারের মেয়াদে বাস্তবায়নযোগ্য শ্রম ও কর্মসংস্থান বিষয়ক সুপারিশের মধ্যে আছে— সব খাতে নারী ও পুরুষ শ্রমিকদের জন্য ন্যূনতম মজুরি নির্ধারণ করা, যাতে মজুরি বৈষম্য নিরসন হয়। ন্যূনতম মজুরি বৈশ্বিক মানদণ্ডের সঙ্গে মিল রেখে প্রতি বছর পুনর্মূল্যায়ন করা এবং বাঁচার মতো মজুরির জন্য নীতি প্রণয়ন করা।

 

নারী শ্রমিকদের নিরাপদ অভিবাসনের জন্য বেশ কিছু সুপারিশ করা হয়েছে প্রতিবেদনে। এর মধ্যে অন্তর্বর্তী সরকারের সময়ে বাস্তবায়ন করার মতো সুপারিশগুলো হচ্ছে—অভিবাসী নারী শ্রমিক ও প্রত্যাগত নারী শ্রমিকদের জন্য বিদ্যমান অভিবাসন আইন, বিধি ও নীতিতে প্রয়োজনীয় সংশোধন করা—যাতে তাদের সর্বোচ্চ সুরক্ষা, সম্মান ও কল্যাণ নিশ্চিত হয়। অভিবাসী নারী শ্রমিকদের জন্য নিরাপত্তা ও সহায়তা নিশ্চিত করতে বিভিন্ন দেশের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক ও দ্বিপাক্ষিক চুক্তি সম্পাদন ও বাস্তবায়ন নিশ্চিত করা, যাতে পরিবীক্ষণ ব্যবস্থা জোরদার এবং ত্রৈমাসিক ও বার্ষিক প্রতিবেদন নিশ্চিত হয়।

 

এছাড়া আছে প্রত্যাগত নারী অভিবাসী শ্রমিকদের পুনঃএকত্রীকরণ ও কর্মসংস্থান সহজ করতে খসড়া পুনঃএকত্রীকরণ নীতি অনুমোদন ও বাস্তবায়ন করার সুপারিশ।

 

নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনে আকাঙ্ক্ষা হিসেবে বলা হয়েছে—সব খাতে শোভনকাজ ও বাঁচার মতো মজুরিসহ অধিক সংখ্যক নারী অভিবাসনের ব্যবস্থা নেওয়া, যেখানে তারা আন্তর্জাতিক শ্রম ও অভিবাসন আইনের সব সুযোগ-সুবিধা পাবেন এবং তাদের কর্মপরিবেশ ও মর্যাদা বর্তমানের চেয়ে উন্নত হবে।

 

প্রতিবেদনে সংবিধান আইন ও নারীর অধিকার: সমতা ও সুরক্ষার ভিত্তি, নারীর অগ্রগতির জন্য প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থা ও জাতীয় সংস্থাসমূহ, নারীর স্বার্থ ও অধিকার প্রতিষ্ঠায় বিকেন্দ্রীকরণ ও স্থানীয় পর্যায়ের উন্নয়ন, নারী ও মেয়ে শিশুর জন্য সহিংসতামুক্ত সমাজ, জনপরিসরে নারীর ভূমিকা: জাতীয় ও স্থানীয় পর্যায়ে, জনপ্রশাসনে নারীর অংশগ্রহণ, নারীর অগ্রগতির জন্য শিক্ষা, প্রযুক্তি ও দক্ষতা বৃদ্ধি, সব বয়সী নারীর জন্য সুস্বাস্থ্য, অর্থনীতিতে অংশগ্রহণ ও সম্পদের অধিকার, শ্রম ও কর্মসংস্থান, নারী শ্রমিকের নিরাপদ অভিবাসন, দারিদ্র্য কমাতে টেকসই সামাজিক সুরক্ষা, গণমাধ্যমে নারীর অংশগ্রহণ, চিত্রায়ণ ও প্রকাশ, ক্রীড়া ও সংস্কৃতিতে নারীর অন্তর্ভুক্তি ও বিকাশ এবং দুর্যোগ ও জলবায়ু পরিবর্তনে নারী বিষয়ে সুপারিশ করা হয়েছে।

 

প্রতিবেদন বিষয়ে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রধান শিরীন পারভিন হক বলেন, আমরা প্রতিবেদনে সব মিলিয়ে ৪৩৩টি সুপারিশ দিয়েছি। আমরা মনে করি, ৪৩৩টির মধ্যে যদি ২০০টিও বাস্তবায়ন হয়, তাহলেও আমরা অনেকটা এগিয়ে যাবো। আমাদের সুপারিশগুলো ৩টি ভাগে করেছি। আমরা মনে করি, এই অন্তর্বর্তী সরকারের সময় করা সম্ভব, দ্বিতীয়ত আমরা মনে করছি, এরপরে যে সরকার আসবে, যেই মেয়াদেই হোক না কেন, সেই সময়ের মধ্যে কী করা যায়– সেটাকে আমরা আলাদা ভাগ করেছি। আরেকটি ভাগ হচ্ছে, নারী আন্দোলনের যে চিরন্তন আকাঙ্ক্ষা ‘স্বাধীনতা’ এবং সেই স্বাধীনতা পেতে হলে, নারীর যদি সত্যিকারের মুক্তি পেতে হয়, তাহলে আমরা কী করতে চাই, আমাদের আকাঙ্ক্ষা কী, স্বপ্ন কী– সেগুলো তুলে ধরেছি। আমরা জানি অনেক কিছু নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হবে, আমরা সেই বিতর্ককে স্বাগত জানাই। কারণ আমরা মনে করি, এখন ২০২৫ সাল, হাইটাইম—এগুলো নিয়ে জনপরিসরে আলোচনা হোক, বিতর্ক হোক, জানাজানি হোক, মানুষ জানুক নারী কী চায়, নারীর

স্বপ্নটা কী।

 

ভারত থেকে জেল খেটে ফিরলেন ৭ বাংলাদেশি

অনলাইন ডেস্ক দৈনিক জীবনের দর্পণ
প্রকাশিত: শনিবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৫, ১১:৫৭ পিএম
ভারত থেকে জেল খেটে ফিরলেন ৭ বাংলাদেশি

ভারতে তিন-ছয় বছর জেল খেটে বিশেষ ট্রাভেল পারমিটের মাধ্যমে বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে দেশে ফিরলেন সাত বাংলাদেশি নারী-পুরুষ।

শনিবার (১৯ এপ্রিল) সন্ধ্যায় ভারতের পেট্রাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশ বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছে তাদের হস্তান্তর করে। ইমিগ্রেশনের আনুষ্ঠানিকতা শেষে তাদের বেনাপোল পোর্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

 

বেনা পোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইব্রাহিম আহমেদ বলেন, ‘ভালো কাজ করার আশায় তারা দালালদের মাধ্যমে অবৈধপথে পাসপোর্ট-ভিসা ছাড়া ভারতে যান। এরপর ভারতের কলকাতা শহরে বিভিন্ন বাসা-বাড়িতে কাজ করার সময় সে দেশের পুলিশের হাতে আটক হন এবং আদালত তাদের তিন-ছয় বছরের সাজা দেয়। সাজা শেষে একটি এনজিও সংস্থার মাধ্যমে আজ সন্ধ্যায় তারা দেশে ফেরেন।’

ফেরত আসারা হলেন- লিলি বেগম (৩১), মণিকা আক্তার (২১), কাজল গাজী (২৭), আম্বিয়া বিবি (৩২),ইসলাম সর্দার (৫৭), আকলিমা খাতুন (২২) ও সাবিনা বিবি (২৫)। এরা ঢাকা, সাতক্ষীরা, খুলনা, যশোর ও বগুড়া এলাকার বাসিন্দা।