খুঁজুন
রবিবার, ৮ জুন, ২০২৫, ২৫ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২

ফারাক্কার ভয়াল থাবায় ১২ জেলায় মরু প্রবণতা, ক্ষতি ৩ বিলিয়ন ডলার

ছবি: সংগৃহীত ( দৈনিক জীবনের দর্পণ)
প্রকাশিত: রবিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৫, ৬:১৯ পিএম
ফারাক্কার ভয়াল থাবায় ১২ জেলায় মরু প্রবণতা, ক্ষতি ৩ বিলিয়ন ডলার

মরণবাঁধ ফারাক্কার ভয়াল থাবায় বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিম ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে ঘটেছে পরিবেশগত মারাত্মক বিপর্যয়। নদ-নদীর অববাহিকা ছাড়াও দেশের কৃষি প্রধান উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের বিশাল এলাকাজুড়ে মরুকরণ ত্বরান্বিত হচ্ছে। রাজশাহীসহ উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে উত্তপ্ত হচ্ছে প্রকৃতি, ঘন ঘন হচ্ছে দাবদাহ। পরিবেশ প্রকৃতি ও প্রাণীকুল হচ্ছে বিপর্যস্ত। বিশুদ্ধ খাবার পানির সংকট এখন নৈমত্তিক বিষয়ে পরিণত হয়েছে। ফারাক্কার ভয়াল প্রভাবে দেশের উত্তর-পশ্চিম ও দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলে কমছে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ।

এদিকে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ফারাক্কায় একতরফা পানি প্রত্যাহারের কারণে ভাটিতে বাংলাদেশের নদনদীগুলো বছরের ৮ মাসই পানিশূন্য থাকছে। প্রকৃতি ক্রমশঃ রুক্ষ ও শুষ্ক হয়ে পড়ছে। মাটিতে আর্দ্রতার পরিমাণ কমে গেছে। পদ্মা তীরবর্তী ও সংলগ্ন ১২টি জেলায় উল্লেখযোগ্য পরিমাণে কমে গেছে গড় বৃষ্টিপাত। এসব জেলার খালবিল, ডোবা, পুকুর, প্লাবনভূমি, জলাশয়গুলোতেও বছরের অধিকাংশ সময় আর পানি থাকছে না। ফলে কৃষি, মৎস্য ও গবাদিপশু পালনে নতুন নতুন সংকট তৈরি হয়েছে। এখন এসব অঞ্চলের কোটি কোটি মানুষের পানির একমাত্র উৎস হয়ে উঠেছে ভূগর্ভস্থ পানি। তবে ক্রমবর্ধমান পানি উত্তোলনের ফলে ভূগর্ভেও পানির টান পড়েছে। বিশেষ করে রাজশাহীসহ বিস্তীর্ণ বরেন্দ্র অঞ্চলে ১৫০ ফিট খনন করেও গভীর নলকূপে আর পানি পাওয়া যাচ্ছে না। বরেন্দ্র অঞ্চলের লাখ লাখ মানুষকে বিশুদ্ধ খাবার পানি পেতে প্রতিনিয়ত লড়াই সংগ্রাম করতে হচ্ছে। পানির অভাবে মানুষ গবাদিপশু পালন করতে পারছে না। মার্চ থেকে জুন পর্যন্ত পুকুর, ডোবা, জলাশয় ফেটে চৌচির হয়ে পড়ছে। সবুজ মাঠ শুকিয়ে হচ্ছে বিবর্ণ।

পরিবেশ বিজ্ঞানীরা আরও বলছেন, ফারাক্কায় পানি প্রত্যাহারে পদ্মা নদী ও অববাহিকায় পরিবেশ ও প্রতিবেশের ওপর ভয়ংকর প্রতিকূল প্রভাব গত দুই দশক ধরেই দৃশ্যমান হয়েছে। দেশের উত্তর-পশ্চিম ও দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের কৃষি, মৎস্য, বনজ, জলজ, শিল্প ও পানি সরবরাহ খাত ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছে। ফারাক্কার প্রভাবে এই অঞ্চলের পরিবেশ ও প্রতিবেশগত ক্ষতির পরিমাণ ৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ছাড়িয়ে গেছে বলে পরিবেশ বিজ্ঞানীরা বলছেন। গঙ্গার পানির সিংহভাগ একতরফাভাবে প্রত্যাহারে পদ্মার উজানে চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে ভাটিতে ফরিদপুর পর্যন্ত ২৫০ কিলোমিটার নদী অঞ্চলে বসবাসকারী আড়াই কোটি মানুষ এখন সারা বছরই পানির কষ্টে ভোগেন। পদ্মার পানি প্রবাহ কমে যাওয়ায় উপকূল এলাকায় পানিতে লবণাক্ততার পরিমাণও বেড়েছে। এর নেতিবাচক প্রভাব দেখা গেছে সুন্দরবনের গাছপালা ও জলজ সম্পদের ওপরেও। পবিবেশ বিজ্ঞানীদের গবেষণায় বলা হচ্ছে, পদ্মার বুক চিরে ছোট-বড় তিন হাজারের বেশি চরে বসবাসকারী কোটি মানুষ বছরের অধিকাংশ সময় টিউবওয়েলের পানি পান না। যে সামান্য পরিমাণ পানি পাওয়া যায় তাতেও আর্সেনিকের মাত্রাতিরিক্ত উপস্থিতির ফলে লাখ লাখ মানুষকে মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকিতে ফেলেছে।

বাংলাদেশ ওয়াটার রিসোর্স প্ল্যানিং ওরগানাইজেশনের (ওয়ারপো) সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পদ্মা অববাহিকা তথা রাজশাহী অঞ্চলের চার জেলার বিস্তীর্ণ এলাকায় পানি স্তর আশঙ্কাজনক পর্যায়ে উপনীত হয়েছে। রাজশাহী তথা উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের ৭১ শতাংশ এলাকায় মাঝারি, উচ্চ ও অতি উচ্চমাত্রার ঝুঁকিতে পড়েছে ভূগর্ভস্থ পানি স্তর। চার দশক আগে রাজশাহীর বরেন্দ্র অঞ্চলের তানোর, গোদাগাড়ী, চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল ও গোমস্তাপুর ও নওগাঁর, সাপাহার, পোরশা, নিয়ামতপুরসহ আরও কয়েকটি এলাকায় মাটির ৮০ ফিট তলেই পানিস্তর ছিল। এখন সেখানে ১৫০ ফুট খনন করেও পানি মিলছে না। এসব এলাকায় স্থাপিত বরেন্দ্র উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের প্রায় তিন শতাধিক গভীর নলকূপ আংশিক ও পুরোপুরি অকেজো হয়ে পড়েছে।

রাবির পরিবেশ বিজ্ঞান ইনিস্টিটিউটের এক গবেষণা প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, ফারাক্কার পানি প্রত্যাহারের ফলে দেশের উত্তর-পশ্চিম ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের নদনদীগুলো শুধু পানি শূন্য হয়ে পড়েনি, পদ্মা অববাহিকায় পানির আধার হিসাবে থাকা ৩৩ হাজার ৬৮০ হেক্টর বিল, ৮৪ হাজার ৪৯৮টি পুকুর, ৬ লাখ ১০ হাজার ৪৬৭ হেক্টর প্লাবনভূমি পানিশূন্য হয়ে পড়েছে। কৃষি মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ পরিপালনে এসব পানির উৎস্য যুগ যুগ ধরে ব্যবহার হয়ে আসছিল। বিলগুলোতে এখন আর কোনো মাছই পাওয়া যায় না। বিল ও প্লাবনভূমির পুরোটাই পলি দিয়ে ভরাট হয়ে এখন সর্বত্র ফসলের আবাদ হচ্ছে। অন্যদিকে খাল-বিল, ডোবা-পুকুর, জলাশয় ও প্লাবনভূমিগুলো পলিতে ভরাট হওয়ায় অসময়েও নদী ভাঙনের শিকার হচ্ছে নদীকূল তীরবর্তী মানুষেরা।

সম্প্রতি রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার পদ্মা তীরবর্তী চরআষাড়িয়াদহ ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রাম সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, নদীর বুকে বসবাস করেও চরাঞ্চলের মানুষ সারা বছরই পানীয় জলের কষ্টে ভুগছেন। চরভুবনপাড়া গ্রামের আশরাফুল ইসলাম বলেন, ফারাক্কার প্রভাবে পদ্মা এখন প্রায় পানি শূণ্য। চারদিকে ধু ধু বালুচর। আগে পদ্মার পানি ছিল গরু মহিষসহ গবাদি পশু পালনে পানির বড় উৎস। এখন তো পদ্মায় পানি নেই। পদ্মার বুক চিরে একটা সরু নালা বয়ে যাচ্ছে তাও গ্রামগুলো থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরে। এখন বছরে একবারও গবাদিপশুকে গোসল করাতে পারি না। আগে হস্তচালিত নলকূপ ছিল চরাঞ্চলের মানুষের পানীয় জলের একমাত্র উৎস। কিন্তু এখন টিউবওয়েলে আর পানি উঠে না। এখন গ্রামে গ্রামে মোটর দিয়ে ভূগর্ভের পানি তুলে পান করি, রান্নাবান্নার কাজে ব্যবহার করি। শীতের কয়েকটা মাস বাদ দিলে সারা বছরই তাপপ্রবাহ চলে।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশবিদ্যা বিভাগের সাম্প্রতিক এক গবেষণষায় উঠে এসেছে গত ৩৬ বছর ধরে পদ্মা অববাহিকায় মার্চ থেকে জুলাই পর্যন্ত সময়ে তাপপ্রবাহের মেয়াদকাল বাড়ছে। পাশাপাশি কমছে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ। পদ্মায় নাব্য হ্রাস ছাড়াও খাল, বিল, ডোবা, জলাশয় শুকিয়ে যাওয়ায় রাজশাহী অঞ্চলে উষ্ণতা ফিবছর বাড়ছে।

এদিকে রাজশাহী অঞ্চলের তাপমাত্রা ক্রমশ অসহিষ্ণু হয়ে উঠছে বলে আঞ্চলিক আবহাওয়া দপ্তরের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। রাজশাহী অঞ্চলে মার্চ থেকে জুলাই পর্যন্ত সময়ে গড় তাপমাত্রা ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ৪০ ডিগ্রি পর্যন্ত উঠছে। আবহাওয়ার এই চরম বৈরিতা মাসের ২০ দিনই ঊর্ধ্বমুখী থাকছে। ফলে অঞ্চলের জনজীবন ও প্রাণীকুলের জন্য অসহনীয় হয়ে উঠছে। রাজশাহীর পরিবেশকর্মী কামাল উদ্দিন বলেন, ফারাক্কার প্রভাবে পানি শূন্য পদ্মার বুকে এখন অসংখ্য বালুচর। গরমকালে এসব বালুস্তর তপ্ত হয়ে অতি গরম হাওয়া প্রকৃতিতে ঢুকছে। মরুভূমির মতো অতি শুষ্ক হাওয়ায় গাছ পালা পুড়ে যাচ্ছে।

অন্যদিকে ফারাক্কা বাঁধের কারণে দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের পরিবেশের ভারসাম্য মারাত্মকভাবে নষ্ট হচ্ছে বলে পরিবেশ বিজ্ঞানীদের বিভিন্ন সময়ে গবেষণায় উঠে এসেছে। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. চৌধুরী সারওয়ার জানান বলেন, ফারাক্কার প্রভাবে পদ্মাসহ ভাটির নদীগুলো বছরের বেশিরভাগ সময়ই পানিশূন্য থাকছে। ফলে ভূ-প্রকৃতি ক্রমশঃ উত্তপ্ত হচ্ছে। এতে দেশের পদ্মা সংলগ্ন বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে মাটিতে আর্দ্রতার পরিমাণ কমে গেছে। ফলে বছর বছর অঞ্চলের ভূ-প্রকৃতি আরও তপ্ত হচ্ছে। একই কারণে অঞ্চলের ভূগর্ভস্থ পানি স্তর নিচে নামছে। বৃষ্টিপাত কমে যাওয়ায় ভূগর্ভস্থ পানি স্তর রিচার্জ হচ্ছে না। মাটিতে আর্দ্রতা কমে যাওয়ায় গাছপালার পর্যাপ্ত পানি পাচ্ছে না। এর ফলে গাছপালা খর্বাকৃতির হচ্ছে। এছাড়া জলবায়ু জনিত সংকট তীব্রতর হচ্ছে। প্রকৃতি পরিবেশ ও পরিবেশ চরম বিপন্নতার দিকে যাচ্ছে।

এদিকে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগের সর্বশেষ প্রতিবেদনে জানা গেছে, পদ্মা বিধৌত অঞ্চলে ভূগর্ভস্থ পানির জোগান দ্রুত ফুরিয়ে যাচ্ছে। দুই দশক আগে রাজশাহী অঞ্চলের জেলাগুলোতে স্থাপিত ১০ হাজার ২৩৫টির বেশি হস্তচালিত নলকূপ পুরোপুরি অকেজো হয়ে গেছে। অঞ্চলের লাখ লাখ মানুষ এখন পানীয় জলের জন্য বিকল্প উৎসের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছেন। বিশেষজ্ঞ প্রকৌশলী রেজাউল করিম বলেন, ভূগর্ভের পানির জোগান দ্রুত হ্রাস পেলে এলাকায় মরু প্রবণতা বাড়ে। এই প্রবণতা রোধে দ্রুত সময়ে পরিকল্পনামাফিক পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি হয়ে পড়েছে।

জীবনের দর্পণ পরিবারের পক্ষ থেকে- ঈদুল আযহার শুভেচ্ছা ও ঈদ মোবারক।

ত্যাগের মহিমায় উদযাপিত হচ্ছে পবিত্র ঈদুল আজহা

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ৭ জুন, ২০২৫, ১২:৫০ পিএম
ত্যাগের মহিমায় উদযাপিত হচ্ছে পবিত্র ঈদুল আজহা

সারা দেশে শনিবার উদযাপিত হচ্ছে ত্যাগের মহিমায় ভাস্বর পবিত্র ঈদুল আজহা।

জীবনের দর্পণ পরিবারের পক্ষ থেকে- ঈদুল আযহার শুভেচ্ছা ও ঈদ মোবারক।

মুসলমানদের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসবের মধ্যে একটি হলো ঈদুল আজহা। যথাযোগ্য মর্যাদা, ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য এবং ত্যাগের মহিমায় সারা দেশে এবারের ঈদ উদযাপিত হচ্ছে। বাংলাদেশে এটি কুরবানির ঈদ নামেও পরিচিত। যুগ যুগ ধরে এই ঈদ ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের ত্যাগের আদর্শে উদ্ভাসিত করে আসছে।

শনিবার সকালে সারা দেশের মুসল্লিরা নিজ নিজ এলাকার ঈদগাহ বা মসজিদে ঈদুল আজহার দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ আদায় করেন। খতিবরা খুতবায় কুরবানির তাৎপর্য তুলে ধরেন। ধনী-গরিব নির্বিশেষে সবাই কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে নামাজ আদায় ও শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

দেশবাসীকে ঈদুল আজহার শুভেচ্ছা জানিয়ে বাণী দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতারা।

 

ঈদুল আজহা উপলক্ষে রাষ্ট্রীয়ভাবে সরকারি, আধা-সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানগুলোতে আলোকসজ্জা করা হয়েছে। বাংলাদেশ টেলিভিশন, বাংলাদেশ বেতার ও বেসরকারি টিভি চ্যানেলগুলো ঈদ উপলক্ষে বিশেষ অনুষ্ঠানমালা প্রচার করছে। ঈদের দিন সরকারিভাবে হাসপাতাল, কারাগার, এতিমখানা ও শিশু সদনে উন্নতমানের বিশেষ খাবারপরিবেশন করা হচ্ছে।

 

ঈদের নামাজ শেষে মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে সামর্থ্যবান মুসলমানরা পশু কুরবানি করছেন। ঈদুল আজহার সঙ্গে পবিত্র হজের গভীর সম্পর্ক রয়েছে। মক্কার অদূরে আরাফাতের ময়দানে সমবেত হওয়ার মাধ্যমে বিশ্বের ধর্মপ্রাণ মুসলিম সম্প্রদায় হজ পালন করেছেন।

 

স্থানীয় হিজরি মাস গণনা অনুযায়ী শুক্রবার সৌদি আরবে ঈদুল আজহা উদযাপিত হয়। এদিন সকালে মুজদালিফা থেকে ফিরে হাজিরা মিনায় অবস্থান করে পশু কুরবানিসহ হজের অন্যান্য কার্যাদিসম্পাদন করেন। সৌদি আরবের সঙ্গে মিলিয়ে বিশ্বের বহু দেশে শুক্রবার ঈদুল আজহা উদযাপিত হয়।

 

ঈদুল আজহা হজরত ইব্রাহিম (আ.) ও তার পুত্র হজরত ইসমাইলের (আ.) ঐতিহাসিক ঘটনার স্মরণে উদযাপন করা হয়। হজরত ইব্রাহিম (আ.) স্বপ্নে আদিষ্ট হয়ে পুত্র ইসমাইলকে (আ.) আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের আশায় কুরবানি করতে গিয়েছিলেন। মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে এটি ছিল একটি পরীক্ষা। তিনি পূর্ণ প্রস্তুতি নিয়ে সেই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন।

 

ইসলামে বর্ণিত আছে, কুরবানি দেওয়ার উদ্দেশ্যে চোখ বাঁধা অবস্থায় তিনিইসমাইল (আ.)-কে জবেহ করেন। কিন্তু চোখ খুলে দেখেন, তার প্রিয় পুত্র ইসমাইলের পরিবর্তে একটি পশু কুরবানি হয়ে গেছে, যেটি আল্লাহর পক্ষ থেকে প্রেরিত ছিল।

 

এ ঐতিহাসিক ঘটনার স্মরণে হজরত ইব্রাহিমের (আ.) সুন্নত হিসেবে কুরবানির বিধান এসেছে ইসলামে। সে অনুযায়ী সামর্থ্যবান প্রত্যেক মুসলমানের জন্য পশু কুরবানি করা ওয়াজিব বা সুন্নতে মুয়াক্কাদা।

 

ঈদের পরবর্তী দুদিন অর্থাৎ আগামী সোমবার আসরের ওয়াক্ত পর্যন্ত কুরবানি করা যাবে। কুরবানির পশুর মাংসের তিন ভাগের এক ভাগ গরিব-মিসকিনদের মধ্যে, এক ভাগ আত্মীয়-স্বজনদের মধ্যে বিতরণ করতে হয় এবং এক ভাগ নিজের জন্য রাখা যায়।

 

এদিকে ঈদুল আজহার ছুটি ৫ জুন থেকে শুরু হয়েছে। সরকারি চাকরিজীবীরা ১৪ জুন পর্যন্ত টানা ১০ দিনের ছুটি উপভোগ করবেন।

 

এর আগে, গত ৬ মে সচিবালয়ে উপদেষ্টা পরিষদের সভায় নির্বাহী আদেশে ১১ ও ১২ জুন (বুধবার ও বৃহস্পতিবার) অতিরিক্ত ছুটি ঘোষণা করা হয়। এছাড়া ঈদের আগে দুই শনিবার সরকারি অফিস চালু রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল।

 

এবারের ঈদকে ঘিরে যাত্রা নির্বিঘ্ন করতে সরকার সবধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। ঈদের ছুটিতে দেশের সব সিএনজি স্টেশন ও ফিলিং স্টেশন খোলা রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যাত্রী হয়রানি বা ভোগান্তির অভিযোগ পেলেই দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে।

চামড়া কিনতে তৈরি পোস্তা, সংরক্ষণে শঙ্কা

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ৭ জুন, ২০২৫, ১২:৪০ পিএম
চামড়া কিনতে তৈরি পোস্তা, সংরক্ষণে শঙ্কা

শনিবার (৭ জুন) পবিত্র ঈদুল আজহা। এ বছর কোরবানিযোগ্য গবাদিপশুর সংখ্যা ১ কোটি ২৪ লাখ ৪৭ হাজার ৩৩৭টি।

কোরবানির পর এসব পশুর চামড়া সংরক্ষণের জন্য প্রস্তুতি নিয়েছে সরকার ও সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী মহল।

চামড়া সংরক্ষণের লক্ষ্যে বেসরকারি খাতের পাশাপাশি সরকারি উদ্যোগেও সারাদেশে ১ লাখ টন লবণ সরবরাহ করা হবে।

 

যার মধ্যে বিনামূল্যে দেওয়া হবে ৩০ হাজার টন। প্রস্তুত রয়েছে পুরান ঢাকার লালবাগের পোস্তার শতাধিক আড়তও।

 

চামড়ার দাম বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে সরকার। লবণযুক্ত গরুর চামড়ার দাম প্রতি বর্গফুটে পাঁচ টাকা বাড়িয়ে ঢাকায় নির্ধারণ করা হয়েছে ৬০–৬৫ টাকা এবং ঢাকার বাইরে ৫৫–৬০ টাকা।

 

তবুও রাজনৈতিক অস্থিরতা ও অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা অনেক বড় ব্যবসায়ীকে সরাসরি বিনিয়োগ থেকে বিরত রাখছে। ফলে চামড়া কেনা ও সংরক্ষণের পরিমাণ কিছুটা কমতে পারে বলে ধারণা করছেন ব্যবসায়ীরা।

আগের বছরগুলোর তুলনায় চামড়ার প্রবাহও কমেছে পোস্তায়। যেখানে একসময় ঈদের তিনদিনে ৩ লাখ চামড়া সংগ্রহ হতো, সেখানে এখন তা নেমে এসেছে দেড় থেকে ২ লাখে। তবে পুরো মাসজুড়েই চামড়া সংগ্রহ ও সংরক্ষণ চলবে। ঈদের ১৫ দিন পর দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকেও চামড়া আসবে বলে জানিয়েছেন আড়তদাররা।

 

শুক্রবার (৬ জুন) পোস্তা এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, প্রায় ১০০টি আড়ত প্রস্তুত রয়েছে। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও লবণ মজুদের কাজ শেষ করেছেন আড়তদাররা। ঈদের দিন সকাল থেকেই শুরু হবে চামড়া সংগ্রহ, চলবে তৃতীয় দিন পর্যন্ত। মৌসুমি ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে সরকার নির্ধারিত দামে চামড়া কিনবেন তারা।

 

চামড়া ছাড়ানোর ৪ থেকে ৮ ঘণ্টার মধ্যে লবণ দিয়ে সংরক্ষণ না করলে তা নষ্ট হয়ে যেতে পারে। তাই সময়মতো সংরক্ষণে নজর দিচ্ছেন আড়তদাররা। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এবার ভালো ব্যবসার আশা করছেন তারা। তবে বৃষ্টিপাত ও অতিরিক্ত গরমে চামড়া নষ্ট হওয়ার আশঙ্কাও থাকছে।

 

বাংলাদেশ হাইড অ্যান্ড স্কিন মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব টিপু সুলতান বলেন, পোস্তার আড়তদাররা প্রস্তুত। পর্যাপ্ত লবণ মজুদ রয়েছে। তবে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের ফলে অনেক বড় ব্যবসায়ী চামড়া কিনবে না, অনেকেই আত্মগোপনে আছেন। ব্যাংকগুলো ঋণ সীমিত করে দিয়েছে, ফলে বাজারে তারল্য সংকট দেখা দিতে পারে।

তিনি আরও বলেন, সরকার চামড়ার দাম গড়ে ৫–৭ টাকা বাড়ালেও টানা বৃষ্টির সম্ভাবনা চামড়ার গুণগত মানের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে। এ বছর পোস্তায় প্রায় দেড় থেকে ২ লাখ চামড়া সংরক্ষণ হতে পারে, যা আগে হতো আড়াই থেকে ৩ লাখ। এতে একটা শঙ্কা থেকেই যাচ্ছে।

 

পোস্তার কাঁচা চামড়া ব্যবসায়ী ও সাবেক সভাপতি আফতাব খান বলেন, সব প্রস্তুতি সম্পন্ন। লবণ এবং শ্রমিক ঠিক করে রাখা হয়েছে। এবার ট্যানারি মালিকরা প্রায় ৮০ শতাংশ চামড়া সরাসরি কিনে নিচ্ছেন, পোস্তায় আসছে মাত্র ২০ শতাংশ। ঈদের তিনদিনে পোস্তায় আসে প্রায় ৩ লাখ কাঁচা চামড়া। সব মিলিয়ে ৩০–৩১ লাখ চামড়া সংরক্ষণ করা হয় এখানে।

 

বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান শাহীন আহমেদ জানান, সব ট্যানারি প্রস্তুত রয়েছে। মোকাম ও আড়তে লবণ পৌঁছে গেছে। সরকার ৩০ হাজার মেট্রিক টন লবণ বিনামূল্যে দিয়েছে। তবে কাঁচা চামড়া রপ্তানির সিদ্ধান্তে ট্যানারি মালিকরা লোকসানের আশঙ্কা করছেন। তবুও আমরা মনে করি, এবছর সংগ্রহ, সংরক্ষণ ও বেচাকেনা গত বছরের চেয়ে ভালো হবে।

 

বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, চামড়ার পানির দামে বিক্রির সুযোগ থাকছে না। সরকার নির্ধারিত দামের বাইরে কেনাবেচা করলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মসজিদ-মাদরাসায় লবণ সরবরাহ, সিন্ডিকেট ভাঙতে কাঁচা চামড়া রপ্তানির অনুমতি এবং স্থানীয় সংরক্ষণে জোর দেওয়া হয়েছে।

বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, বিনামূল্যে লবণ, প্রশিক্ষণ, শ্রম ব্যয়ের হিসাব মিলিয়ে এবার যৌক্তিক দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। পাশাপাশি চীন ও ভিয়েতনামে রপ্তানির উদ্যোগও নেওয়া হয়েছে।

 

এদিকে এবছর রাজধানীসহ ঢাকায় কোরবানির গরুর চামড়ার মূল্য (লবণ মিশ্রিত) সর্বনিম্ন ১৩৫০ টাকা এবং মফস্বলের গরুর চামড়ার মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ১ হাজার ১৫০ টাকা। আর বর্গফুট হিসাবে ঢাকায় গরুর প্রতি বর্গফুট লবণযুক্ত চামড়ার দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৬০-৬৫ টাকা, যা গত বছর ছিল ৫৫-৬০ টাকা।

 

অন্যদিকে ঢাকার বাইরে গরুর প্রতি বর্গফুট লবণযুক্ত চামড়ার দাম নির্ধারণ করা হয় ৫৫ থেকে ৬০ টাকা। যা গত বছর ছিল ৫০-৫৫ টাকা। মূল্য বিশ্লেষণে গত বছরের তুলনায় আসন্ন কোরবানির গরুর চামড়ার মূল্য প্রতি বর্গফুটে পাঁচ টাকা বেড়েছে। এছাড়া খাসির লবণযুক্ত চামড়ার ক্রয়মূল্য প্রতি বর্গফুট ২৭ টাকা ও বকরির চামড়ার দাম ২২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ মূল্য গত বছরের তুলনায় দুই টাকা বেড়েছে।

 

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, এ বছর কোরবানিযোগ্য গবাদিপশুর সংখ্যা ১ কোটি ২৪ লাখ ৪৭ হাজার ৩৩৭টি। এর মধ্যে ৫৬ লাখ গরু-মহিষ, ৬৮ লাখ ছাগল-ভেড়া এবং ৫ হাজারের বেশি অন্যান্য প্রজাতির প্রাণী রয়েছে। ২০ লাখের বেশি পশু উদ্বৃত্ত থাকতে পারে।

 

রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্য অনুযায়ী, দেশে বছরে প্রায় ২২ কোটি বর্গফুট চামড়া পাওয়া যায়, যার ৬০ শতাংশই আসে কোরবানির মৌসুমে। এর মধ্যে ৬৪ দশমিক ৮৩ শতাংশ গরু, ৩১ দশমিক ৮২ শতাংশ ছাগল, ২ দশমিক ২৫ শতাংশ মহিষ এবং ১ দশমিক ২ শতাংশ ভেড়ার চামড়া।

জুলাই ঘোষণাপত্র-সনদ বাস্তবায়ন হলে এপ্রিলে নির্বাচনে আপত্তি নেই এনসিপির

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ৭ জুন, ২০২৫, ১২:৩৬ পিএম
জুলাই ঘোষণাপত্র-সনদ বাস্তবায়ন হলে এপ্রিলে নির্বাচনে আপত্তি নেই এনসিপির

জুলাই ঘোষণাপত্র ও জুলাই সনদ প্রতিশ্রুত সময়সীমার মধ্যে বাস্তবায়ন হলে আগামী বছরের এপ্রিল মাসে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলেও তাতে আপত্তি থাকবে না বলে জানিয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। তবে বর্তমান নির্বাচন কমিশনের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয় বলে মত দিয়েছেন দলটির জ্যেষ্ঠ নেতারা।

 

শুক্রবার (৬ জুন) বাংলানিউজের সঙ্গে আলাপকালে এনসিপির শীর্ষ নেতারা এ কথা বলেন।

 

এর আগে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস ঘোষণা দেন, আগামী বছরের এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে যেকোনো দিন জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে।

এনসিপি নেতারা জানান, সংস্কার, জুলাই ঘোষণাপত্র ও সনদের বাস্তবায়ন এবং শহীদদের হত্যার দৃশ্যমান বিচার সম্পন্ন হলে এই সময়কে তারা ইতিবাচকভাবে বিবেচনা করবেন। তবে তারা অভিযোগ করেন, বর্তমান নির্বাচন কমিশন বিএনপির হয়ে কাজ করছে, যার ফলে নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব নয়।

 

এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক সরোয়ার তুষার বলেন, নির্বাচনের সময় ঘোষণা আমরা ইতিবাচকভাবে নিয়েছি। প্রতিশ্রুত সময়ের মধ্যে যদি জুলাই ঘোষণাপত্র ও জুলাই সনদ বাস্তবায়ন হয়, তাহলে এপ্রিলের নির্বাচনে এনসিপির কোনো আপত্তি থাকবে না।

 

তিনি আরও বলেন, জুলাই সনদের বাস্তবায়ন হবে গণপরিষদের মাধ্যমে। তাই সংস্কার ও সরকার গঠনের ধারাবাহিকতায় নির্বাচনের ঘোষণা যুগপৎভাবে গণপরিষদ ও আইনসভার নির্বাচন হিসেবেই দিতে হবে।

 

নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করতে হবে এবং নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন করতে হবে। বর্তমান কমিশন তার নিরপেক্ষতা হারিয়েছে।

 

দলটির আরেক জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন বলেন, নির্বাচনের সময় নিয়ে আমাদের আপত্তি ছিল না। তবে আমরা বলেছিলাম, সংস্কার কার্যক্রম সম্পন্ন করে তবেই নির্বাচন দিতে হবে। এখন নির্বাচনের তারিখ সামনে এনে সংস্কারের প্রশ্নটি উপেক্ষিত হয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।

নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করতে হবে এবং নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন করতে হবে। বর্তমান কমিশন তার নিরপেক্ষতা হারিয়েছে।

 

দলটির আরেক জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন বলেন, নির্বাচনের সময় নিয়ে আমাদের আপত্তি ছিল না। তবে আমরা বলেছিলাম, সংস্কার কার্যক্রম সম্পন্ন করে তবেই নির্বাচন দিতে হবে। এখন নির্বাচনের তারিখ সামনে এনে সংস্কারের প্রশ্নটি উপেক্ষিত হয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।

 

তিনি আরও বলেন, প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্যে নির্বাচন কীভাবে হবে, সে সম্পর্কে কিছু বলা হয়নি। অথচ আমরা শুরু থেকেই গণপরিষদ নির্বাচনের বিষয়টি তুলে আসছি।

 

নির্বাচন কমিশন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বর্তমান কমিশন পক্ষপাতদুষ্টভাবে কাজ করছে। এটি বিএনপির পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। ফলে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়।