খুঁজুন
শনিবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৫, ৬ বৈশাখ, ১৪৩২

লিঙ্গ পরিবর্তন করতে এসে দিল্লিতে গ্রেপ্তার ৫ বাংলাদেশি

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বুধবার, ৯ এপ্রিল, ২০২৫, ৮:৩১ পিএম
লিঙ্গ পরিবর্তন করতে এসে দিল্লিতে গ্রেপ্তার ৫ বাংলাদেশি

জাহাঙ্গিরপুরী মেট্রো স্টেশনের কাছ থেকে এই ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। দিল্লি পুলিশ যে বাংলাদেশি নাগরিকদের গ্রেপ্তার করেছে, তারা সকলেই অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করেছিলেন এবং নাম বদলে থাকছিলেন বলে পুলিশের অভিযোগ।

 

পুলিশ জানিয়েছে, আটক সকলেই দিল্লিতে হরমোনাল ট্রিটমেন্টের মধ্য দিয়ে যাচ্ছিলেন। কিছুদিনের মধ্যে তাদের লিঙ্গ পরিবর্তনের সার্জারিও হওয়ার কথা ছিল। বিশেষ সূত্রে খবর পেয়ে দিল্লি পুলিশের একটি স্পেশাল টিম ওই অঞ্চলে কয়েকদিন ধরে নজর রাখে ওই ব্যক্তিদের উপর। শেষ পর্যন্ত তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

পুলিশ জানিয়েছে, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পর ওই ব্যক্তিরা জানিয়েছেন, তাদের কাছে পাসপোর্ট, ভিসা কিছুই নেই। পশ্চিমবঙ্গের সীমান্ত তারা পার করে এজেন্টের সাহায্যে। সেখান থেকে তারা দিল্লি এসে পৌঁছায়। দিল্লিতে তারা লিঙ্গ পরিবর্তনের চিকিৎসা করাচ্ছিলেন।

পুলিশের দাবি, নিজেদের পরিচয় গোপন করার জন্যই ওই লিঙ্গ পরিবর্তনের কথা ভাবছিলেন তারা। এর আগেও এমন ঘটনা ঘটেছে।

 

আটক ব্যক্তিদের পরিচয় পুলিশ জানিয়েছে, যে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তাদের নাম- মোহাম্মাদ শাকিদুল, তিনি শেরপুরের বাসিন্দা। মোহাম্মাদ দুলাল আখতার ওরফে হাজরা বিবি, তিনি জামালপুরের বাসিন্দা। মহম্মদ আমিরুল ইসলাম ওরফে মোনিকা, তিনি ঢাকার বাসিন্দা। মহম্মদ মাহির ওরফে মাহি, তিনি টাঙ্গাইলের বাসিন্দা। সাদ্দাম হুসেন ওরফে রুবিনা, তিনি দিনাজপুরের বাসিন্দা। প্রত্যেকেই হরমোনাল থেরাপি করাচ্ছিলেন। লিঙ্গ পরিবর্তনের প্রাথমিক সার্জারিও শুরু হয়েছিল।

 

পুলিশ জানিয়েছে, এদের প্রত্যেকের কাছ থেকেই জাল পরিচয়পত্র পাওয়া গেছে। এই পরিচয়পত্র দেওয়ার কাজ করে ভারতের কিছু চক্র। বস্তুত, গত মার্চ মাসে দিল্লিতে অভিযান চালিয়ে এমন বেশ কিছু চক্রের হদিস পেয়েছে

দিল্লি পুলিশের ডেপুটি কমিশনার অঙ্কিত চৌহান জানিয়েছেন, দিল্লির এই চক্র অবৈধ বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের ভারতে প্রবেশ করানো থেকে শুরু করে তাদের হাতে জাল পরিচয়পত্র তুলে দেওয়া পর্যন্ত সমস্ত কাজ করে। তাদের থাকার ব্যবস্থাও করে দেয় তারা। বড় অংকের অর্থের বিনিময়ে এই কাজ করা হয়।

 

মার্চে যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে তার মধ্যে মহম্মদ মইনুদ্দিন বলে এক ব্যক্তি আছে। দিল্লিতে একটি কম্পিউটারের দোকান চালাতো সে। ওই দোকানেই জাল পরিচয়পত্র বানানো হতো। তার দোকান থেকে জাল জন্মের পরিচয়পত্র, আধারকার্ড, খালি ভোটার কার্ডের ফরম্যাট পাওয়া গেছে। ওই জাল পরিচয়পত্র দেখিয়ে অবৈধ অনুপ্রবেশকারীরা ভারতে নানা কাজে যুক্ত হতো বলে দাবি করেছেন ডেপুটি কমিশনার।

 

উল্লেখ্য, মার্চ মাসে আট বাংলাদেশি অবৈধ অনুপ্রবেশকারীকেও গ্রেপ্তার করেছিল দিল্লি পুলিশ। তারা প্রত্যেকেই জাল পরিচয়পত্র দেখিয়ে দিল্লির বিভিন্ন সংস্থায় কাজ করছিলেন। অনলাইন খাবার ডেলিভারির কাজের সঙ্গেও তারা যুক্ত হয়েছিলেন বলে পুলিশ জানিয়েছে।

 

দিল্লি পুলিশের আরেক অফিসার জানিয়েছেন, মইনুদ্দিন একা নন, তিনি একটি চক্রের অংশ। দেশজুড়ে একটি বড় চক্র গড়ে উঠেছে বলে তার দাবি। ইতিমধ্যেই পুলিশের বিশেষ দল ওই চক্রের সন্ধানে অভিযান চালাচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

সাংবাদিক আশিস গুপ্ত জানিয়েছেন, এমন চক্র হঠাৎ গড়ে উঠেছে এমন নয়। সীমান্ত অঞ্চলগুলিতে অবৈধ অনুপ্রবেশের এমন বহু চক্র কাজ করে। বিএসএফ-এর দায়িত্ব সীমান্তেই ওই চক্রগুলিকে ধরা।

 

আশিসের অভিযোগ, সীমান্তের ওই চক্রগুলির হাত অনেক লম্বা। তাদের রাজনৈতিক এবং প্রশাসনিক যোগাযোগ আছে। ফলে কখনোই তাদের সকলকে ধরা হয় না। ওই চক্রের হাত ধরেই দিল্লি, বেঙ্গালুরুর মতো শহরে ছোট ছোট এজেন্সি তৈরি হয়েছে বলে আশিসের অভিযোগ।

ফরেনার রিজিওনাল রেজিস্ট্রেশন অফিসের এক অফিসার জানিয়েছেন, গত কয়েক মাসে ছয়জন অবৈধ বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীকে দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে। আরো চারজনকে পাঠানোর চেষ্টা চলছে।

 

তবে তার বক্তব্য, যত মানুষ গ্রেপ্তার হন, তার খুব কম অংশকেই ডিপোর্ট করা সম্ভব হয়। কারণ, ডিপোর্ট করার জন্য দুই দেশের মধ্যে বিস্তর কাগজপত্র দেওয়ানেওয়া করতে হয়। সব সময় তা সম্ভব হয় না। এটি একটি দীর্ঘ প্রক্রিয়া।

 

এদিকে চলতি সপ্তাহে যে রূপান্তরকামী বাংলাদেশিদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তারা সত্যিই রূপান্তরকামী, নাকি পরিচয় বদলের জন্য তারা একাজ করছিলেন, তা নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে।

বিশেষজ্ঞদের একাংশের দাবি, রুপান্তরকামী বলেই তারা চিকিৎসার জন্য ভারতে এসেছিলেন। স্রেফ পরিচয় বদলের জন্য লিঙ্গ পরিবর্তনের সার্জারি করা সহজ কাজ নয়।

জেলের মরদেহ উদ্ধার পদ্মা নদী থেকে যা জানালো প্রতিনিধি ।

বিশেষ প্রতিনিধি , রাজবাড়ী
প্রকাশিত: শনিবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৫, ৮:১৩ পিএম
জেলের মরদেহ উদ্ধার পদ্মা নদী থেকে  যা জানালো প্রতিনিধি ।

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে পদ্মা নদী থেকে মসলেম প্রামানিক (৫৫) নামে এক জেলের মরদেহ উদ্ধার করেছে স্থানীয়রা।

নিহত মসলেম প্রামাণিক গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া ইউনিয়নের ইদ্রিস মন্ডল পাড়ার হয়দার প্রামাণিকের ছেলে।

স্থানীয় ও নিহত পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, শুক্রবার সকাল ১১টার দিকে মসলেম প্রামানিক মাছ ধরে বাজারে বিক্রি করে বাড়িতে আসে। খাওয়া-দাওয়া শেষ করে আবার পদ্মা নদীতে মাছ ধরতে যায়। শনিবার সকালে স্থানীয় লোকজন তার মরদেহ পানিতে ভাসতে দেখে। তিনি অসুস্থ থাকায় হার্ড অ্যাটাকে মৃত্যু হয়েছে বলে পরিবার মনে করছেন। পরে পুলিশকে খবর দিলে নৌ-পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে। পরিবারের কোনো অভিযোগ না থাকায় মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে।

দৌলতদিয়া নৌ ফাঁড়ির এসআই মো. লুৎফর রহমান বলেন, নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ না থাকায় মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

 

 

 

ঘুষ-দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযোগ দাখিলের আহ্বান আসিফ মাহমুদের

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৫, ৮:০০ পিএম
ঘুষ-দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযোগ দাখিলের আহ্বান আসিফ মাহমুদের

জীবনের দর্পণ

শনিবার (১৯ এপ্রিল) বিকেলে ফেসবুক আইডিতে এক পোস্টে তিনি এ তথ্য জানান।

আসিফ মাহমুদ লিখেছেন, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ যেকোনো দপ্তর, সংস্থা বা যেকোনো পর্যায়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে ঘুষ দাবি বা গ্রহণ, দুর্নীতি, অনিয়ম, কিংবা সেবা গ্রহীতাকে হয়রানির অভিযোগ থাকলে সম্মানিত নাগরিকদের তা দাখিলের জন্য আহ্বান জানানো যাচ্ছে।

অভিযোগে যথাযথ তথ্য, উপাত্ত ও প্রমাণ সংযুক্ত থাকলে তা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ ছাড়াও যেকোনো অভিযোগ গুরুত্বের সঙ্গে আমলে নেওয়া হবে। অভিযোগকারীর পরিচয় ও তথ্য গোপন রাখা হবে।

জনস্বার্থে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ঘুষ, অনিয়ম ও দুর্নীতিমুক্ত প্রশাসন গড়তে আপনার সক্রিয় অংশগ্রহণ আমাদের প্রেরণা।

 

সালথায় জামায়াতে ইসলামীর গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ

সাইফুল ইসলাম মারুফ, স্টাফ রিপোর্টারঃ
প্রকাশিত: শনিবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৫, ৭:২২ পিএম
সালথায় জামায়াতে ইসলামীর গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ

ফরিদপুরের সালথা উপজেলায় ইসলামি জ্ঞান চর্চার এক নিখুঁত পরিকল্পনা, জনকল্যাণমুখী আদর্শ রাষ্ট্র ও সরকার গঠনের নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলন বিষয়কে সামনে রেখে বাংলাদেশ জামাতে ইসলামী সালথা উপজেলা শাখার উদ্যোগে গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ করা হয়েছে।  আজ শনিবার ( ১৯ এপ্রিল) বিকাল ৪ ঘটিকায়  সালথা সদর বাজার এলাকায় এই কার্যক্রম পরিচালনা করা হয় 

এসময় উপজেলা জামাতের আমির অধ্যাপক মাওলানা আবুল ফজল মুরাদ বলেন  ১১ এপ্রিল থেকে ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত কেন্দ্র ঘোষিত গণসংযোগ পক্ষ চলিতেছে। তারই অংশ হিসেবে আমরা সর্বস্তরের জনগণের পাশে ইসলামের দাওয়াত নিয়ে যাচ্ছি। ভ্যান চালক, রিক্সা চালক, দোকানদার, চায়ের দোকানের লোকজন সহ সকল প্রকারের মানুষের কাছে আমরা ইসলামের দাওয়াত নিয়ে যাচ্ছি। তারা আমাদের ডাকে ব্যাপক সাড়া দিচ্ছে। আগামীতে অন্যায়কে হটিয়ে ন্যায়কে প্রতিষ্ঠা করার জন্য বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলমী কাজ করে যাচ্ছে। সকলের প্রতি দাওয়াত থাকবে আগামীতে ইসলামী রাষ্ট্র কায়েমের জন্য বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীকে সমর্থন করুন। 

 উপজেলা জামাত ইসলামের আমিরের নেতৃত্বে এ সময় উপস্থিত ছিলেন সালথা উপজেলা জামাত ইসলামের সেক্রেটারি মোঃ তরিকুল ইসলাম, উপজেলা জামাতের নায়েবে আমির মোঃ আজিজুর রহমান মজনু, উপজেলা শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি চৌধুরী মাহবুব আলী সিদ্দিকী (নসরু), রামকান্তপুর ইউনিয়ন জামায়াতের সভাপতি মোহাম্মদ ফারুক হোসেন, সোনাপুর ইউনিয়নের সভাপতি মোঃ আলিমুজ্জামান, উপজেলা জামাত ইসলামের  নেতা মোঃ ওয়ালিউজ্জামান, জাহিদ হাসান, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির সালথা উপজেলা শাখার বাইতুল মাল সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন প্রমুখ।